বাংলাদেশের সংবিধান শিক্ষাকে সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং অনুচ্ছেদ ১৭ এর মাধ্যমে একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রকে নির্দেশ দিয়েছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী সকলের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে সরকার এপ্রিল ২০০৫ এ রাজস্ব খাতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সৃষ্টি করেছে। এটি জাতীয় পর্যায়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সাব-সেক্টর ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় অনেক অবদান রাখছে এবং এরফলে সংগঠিত পদ্ধতিতে দেশে সাক্ষরতা বিস্তার ঘটছে। অপরদিকে, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সাব-সেক্টরকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪ মহান জাতীয় সংসদে পাস করেছে। এ আইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে-‘শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞানদান, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকায়ন, দক্ষ মানবসম্পদে পরিণতকরণ, আত্ম-কর্মসংস্থানের যোগ্যতা সৃষ্টিকরণ এবং বিদ্যালয় বাহির্ভূত ও ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার বিকল্প সুযোগ সৃষ্টি’।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো হচ্ছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য জাতীয় পর্যায়ে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। ইহা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়ন এবং সামগ্রীক মানবসম্পদ উন্নয়ন কৌশলের অংশ হিসেবে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকে অগ্রাধিকার প্রদানে পেশাদার নেতৃত্ব প্রদান করে আসছে। এজন্য এর গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে-স্বল্প মেয়াদী বিচ্ছিন্ন প্রকল্প প্রণয়নের পরিবর্তে দীর্ঘ মেয়াদী উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সরকারি সংস্থা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী সংগঠন, চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠান এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও বাজারজাতকারী সংস্থার মধ্যে অংশীদারিত্ব উন্নয়ন ও সহযোগীতার মাধ্যমে কাজ করে আসছে। সর্বোপরি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সরকারী সংস্থা, বেসরকারী সংস্থা (এনজিও), সিভিল সোসাইটি এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সহযোগীতায় একটি সমন্বিত সাব-সেক্টর কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহযোগীতা প্রদান করে যাচ্ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস